NEWS IN BENGALI

আত্মনির্ভর ত্রিপুরা ফুল চাষ করে খোয়াই যুবকের জীবিকা বৃদ্ধি


খোয়াই, ২৮ জনুয়ারি: আগে এক সময়ে বিয়ে সহ নানান ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে আগরতলা থেকে ফুল কিনে এনে ভাড়া দিতেন। এরপর নিজেই মাত্র আধা কানি জায়গাতে রকমারি ফুলের চাষ করতে শুরু করলেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তর থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত। বর্তমানে গোটা খোয়াই জেলার মধ্যে একজন সফল এবং অনুপ্রেরণা সৃষ্টি কারি ফুলচাষী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন কল্যানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 5 নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যমী যুবক শংকর শীল। রাতদিন এক করে খাটছেন, তিলে তিলে সুন্দর এবং পরিকল্পনা করে গড়ে তুলছেন ফুলবাগান। তিনি জানিয়েছেন আগে আগরতলা থেকে ফুল কিনে এনে বিয়ে সহ নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দিয়ে যে মুনাফা লাভ করতেন এখন নিজের ফুলবাগান থেকে একদিকে যেমন নিজে বিভিন্ন ব্যবসার কাজে ফুল ব্যবহার করছেন অন্যদিকে নানান জায়গার ক্রেতারাও ছুটে আসছেন রকমারি ফুল কিনতে।

এভাবেই আত্মবিশ্বাসের সুরে জানালেন বছর পঁয়ত্রিশের উদ্যমী যুবক শংকর শীল। আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে মাত্র আধা কানি জমি দিয়ে যেই ফুল চাষ শুরু করেছিলেন শঙ্করবাবু, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই ফুলবাগানের বহর অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় আড়াই কানি জমির উপর সুশৃংখলভাবে শংকর বাবুর ফুলের বাগান হাসছে। বাগান ঘুরে দেখা গেল বাগানের চতুর্দিকে রয়েছে সারি সারি রকমারি গাঁদা ফুল, রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, রয়েছে গ্লাডিউলাস রয়েছে ডালিয়া রয়েছে স্ট্রবেরি এর মত বিরল ফুলসমূহ। নিজে জানতেন যে ফুল চাষ করে সফল হলে অর্থনৈতিকভাবে মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন, কিন্তু বাধা ছিল আর্থিক দৈন্য দশা। ভেবে উঠতে পারছিলেন না কিভাবে কি করবেন। চোখে মুখে একরাশ স্বপ্ন থাকলেও বারবার যেন আর্থিক দুরবস্থা পিছু টেনে ধরতে চাইছিল, কিন্তু পরিত্রাতা হিসেবে পাশে দাঁড়ালো রাজ্য কৃষি দপ্তর।

সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেন স্থানীয় বিধায়ক সহ পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন এবং কল্যানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিজেও। এমনটাই কৃতজ্ঞতার সুরে জানালেন  কল্যাণপুর ব্লকের অনুপ্রেরণাকারী ফুলচাষী শংকর শীল। দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা থাকলেও, পঞ্চায়েতের উৎসাহ থাকলেও ফুল চাষ সম্পর্কে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় একটা সময় মনে হয়েছিল হয়তোবা থমকে যাবেন, না এ যাত্রায়‌ও এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেলেন। এবার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে পাশে  দাঁড়াল দিব্যোদয় কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেয়ে নিতান্তই আপ্লুত শংকর শীল। আগামী দিনেও যদি আরো প্রশিক্ষণ দিব্যোদয় কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রদান করা হয় সাদরেই তা গ্রহণ করবেন এমনটাই জানালেন শংকর শীল নিজে।

এখানেই থেমে থাকতে নারাজ শংকর শীল। আগামী দিনে দপ্তর সহ সরকারের সার্বিক সহায়তায় আরো অনেকদূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন শংকর শীল। পাশাপাশি সমাজের প্রতি বার্তা দিতে গিয়ে বললেন আগামী দিনে বেকার উদ্যমীরা যদি ফুল চাষকে ভিত্তি করে এগিয়ে যেতে চায় তাহলে একটা সোনালি ভবিষ্যত্ রয়েছে। ফুলচাসি শংকর শীল জানিয়েছে তার আড়াই কাঠা জমির মধ্যে বেশ জায়গা অন্যজনের উনার অনুপ্রেরণায় আজ কিছুটা হলেও মজবুত শংকর চাইছে কল্যাণপুর কৃষি দপ্তর এর পাশাপাশি দিব্যদয় কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র যেন তার পাশে আর্থিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় যেন।

Most Recent